বিয়ে মানেই সুখী যৌনজীবন। এমনটা
ভাবার কোনও কারণ নেই। প্রত্যেকটা
মানুষের চাহিদা আলাদা।
তাই বিয়ে কখনওই রতিসুখের
চাবিকাঠি হতে পারে না। তবে
অনেকের ক্ষেত্রে বিষয়টা তেমন নাও
হতে পারে। দাম্পত্য
জীবনে অনেকেই শারীরিক এবং
মানসিকভাবে সুখী হন।
কিন্তু যৌনজীবনে অসুখী, তা স্বামীকে
বলতে আবার অনেক মহিলাই
দ্বিধাবোধ করেন। পাছে
তিনি কী ভাবেন! পাছে
সম্পর্কে ভাঙন ধরে।
তাই কিছু কথা মনের
অন্তরালেই রয়ে যায়।
যা একমাত্র নিজের সঙ্গেই ভাগ
করে নিতে হয় মহিলাদের। পুরুষরা
জেনে রাখতেই পারেন সেসব
কথা, যা হয়তো স্ত্রী
কখনওই মুখ ফুটে বলতে
পারবেন না।
মিথ্যে
অরগ্যাজম:
অরগ্যাজমে যেমন পুরুষরা তৃপ্তি
পান, মহিলাদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একইরকম।
কিন্তু অনেক পুরুষের কাছেই
তা স্পষ্ট নয়।
ফলে স্বামীর শৃঙ্গারে নিজেকে তৃপ্ত দেখাতে
অনেক মহিলাই অরগ্যাজমের অভিনয়
করে থাকেন। পুরুষদের
ধৈর্যের অভাবেই সাধারণত এটি
হয়ে থাকে। তাঁরা
মনে করেন, পূর্ণাঙ্গ সঙ্গমেই
তৃপ্তি লুকিয়ে। তাই
আলাদা করে স্ত্রীর অরগ্যাজমের
বিষয়টি ভেবে দেখা হয়
না। যে
বিষয়টি জানাতে সাহস করেন
না স্ত্রীও।
চাহিদার
পার্থক্য:
দাম্পত্য জীবনে শাস্তি বজায়
রাখতে সঙ্গমের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই
সম্ভব হলে বিয়ের আগেই
স্বামীর ভালমন্দ জেনে নেওয়া ভাল। তিনি
কেমন যৌনজীবন পছন্দ করেন তা
জেনে রাখুন। পারলে
আপনার পছন্দ-অপছন্দগুলিও জানিয়ে
দিন। এতে
যৌনজীবন নিয়ে পরস্পরের মধ্যে
স্পষ্ট ধারণা থাকে।
তাছাড়াদুজনের চাহিদা আলাদা হলে
বিয়ে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও
সুবিধা হবে। পরস্পরের
চাহিদা না মিললেই সঙ্গম
জমে না। আর
এতে পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব বেড়েই
যায়।
দায়িত্বজ্ঞানহীনতা:
অনেক মহিলাই মিলনের সময়
অতিরিক্ত সতর্ক থাকেন।
কন্ডোমের ব্যবহার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখেন। আসলে
নিরাপদ সঙ্গম না হলে
মহিলাদেরই বেশি সমস্যায় পড়তে
হয়। কিন্তু
পুরুষরা সেই মনের কথা
অনেক সময়ই বুঝতে পারেন
না। উলটে
স্ত্রী কন্ডোমহীন সঙ্গমে রাজি না
হলে অভিমান করেন।
তাই এক্ষেত্রে স্ত্রীয়ের মন পড়ে ফেলতে
পারলে ভালবাসা বাড়বে বই কমবে
না।
মিলনে
অনিচ্ছা:
অনেক মহিলারা সন্তান জন্ম দেওয়ার
পর মিলনের ইচ্ছা হারিয়ে
ফেলেন। আসলে
মা হওয়ার পর শারীরিক
গঠনেও অনেক পরিবর্তন আসে। তখন
রতিক্রিয়া করলেও তা আর
উপভোগ করেন না অনেকেই। অথচ
এমনটা যে হচ্ছে, স্বামীর
মুখ চেয়েই তা বলতেও
পারেন না।
স্বামী
আকর্ষণ
হারিয়েছেন:
একটা সময়ের পর গিয়ে
স্বামীর প্রতি আকর্ষণ হারান
মহিলা। নিয়ম
করে একে অপরের কাছে
হয়তো আসেন, কিন্তু আগের
মতো ভাললাগাটা আর অনুভব করেন
না। অনেক
সময় এমনটা হয়ে থাকে
অতিরিক্ত প্রত্যাশা থেকে। স্বামী
আগের মতো স্ত্রীর পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল না রাখলে
বা সঙ্গমে নতুনত্ব কিছু
খুঁজে না পেলে এমন
হতাশার সৃষ্টি হয়।
আর সেখান থেকেই স্বামীকে
কম আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে। কিন্তু
এ কথা তো আর
সরাসরি তাঁকে বলা সম্ভব
নয়। সংসার
বাঁচাতে তাই মনের কথা
মনেই চেপে রাখেন মহিলারা।